সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ভারতের মেঘালয়ে জনিক মিয়া (২৭) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার ভোরে বড়ছড়ার ভাঙ্গারঘাট কোয়ারীর উত্তর তীরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে হাত পা মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। পরে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত জনিক উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বড়ছড়া গ্রামের জিলু মিয়ার ছেলে। সোমবার দুপুরে নিহতের পিতা জিলু মিয়া ও পরিবারের সদস্যরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সোমবার দুপুরে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাফিল উদ্দিন স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে বলেন, লোকমুখে শুনেছি উপজেলার বড়ছড়ার জনিক মিয়া রোববার রাতের কোন এক সময় মেঘালয়ের বড়ছড়ার ৪নং বস্তি এলাকায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে। এরপর সেখানকার ভারতীয় নাগরিকদের কয়েকজনকে মারপিট করে। ভারতীয় নাগরিকরা পাল্টা সংগঠিত হয়ে তাকে আটকে রেখে বেধড়ক গণপিটুনি দিয়ে গুরুতর আহত করে।
সোমবার ভোরে সীমান্তের শূন্যরেখায় মৃত ভেবে তাকে সীমান্তের মেইন পিলার ১১৯৯ এর ফোর এস সাব-পিলারের ফাইভটি পিলার সংলগ্ন টেকেরঘাটের বড়ছড়ার ভাঙ্গারঘাট কোয়ারীর উত্তর তীর এলাকায় ফেলে রেখে যায়।
দুপুরে তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ হেফাজতে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন-বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ভারতীয় নাগরিকদের ব্যাপারে ভারতীয় প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডেন্টকে প্রতিবাদ জানিয়ে পত্র পাঠানো হবে।